মঙ্গলবার, ০১ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:২৩ পূর্বাহ্ন

মালচিং পদ্ধতিতে আগাম ঝিঙে চাষ,বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা

মালচিং পদ্ধতিতে আগাম ঝিঙে চাষ,বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা

সাদুল্লাপুর প্রতিনিধি ঃ সাদুল্লাপুর ইদিলপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ লক্ষীপুর (কাঁঠাল লক্ষীপুর) গ্রামের কৃষক নেছার সরকার দুলু মিয়া এ বছর রাঘবেন্দ্রপুর গ্রামে ২৮ শতাংশ জমিতে মালচিং পদ্ধতিতে আগাম জাতের ঝিঙে লাগিয়ে সকল কৃষকের আইকন হয়ে দাড়িয়েছে।
তার জমিতে লাগানো ফসল দেখে অনেকেই পরামর্শ নিচ্ছে ও উদ্ভুদ্ধ হচ্ছে। রোগবালাই মুক্ত ঝিঙে চাষে বাম্পার ফলন হবে, আগাম উৎপাদন হওয়ায় বাজারে চাহিদা থাকবে,এতে লাভবান হবে কৃষক।
১৫ মার্চ নিজ জমিতে কাজ করা অবস্থায় কৃষক নেছার সরকার দুলু বলেন,এ বছর আমি ২৮ শতাংশ জমিতে মালচিং পদ্ধতিতে আগাম জাতের ঝিঙে চাষ করেছি। ফসল ভালো হয়েছে। ৪৫ দিন পূর্বে লাগানো ঝিঙে গাছে ইতিমধ্যেই ফুল ও ফল ধরতে শুরু করেছে। এতে করে আশা করে আল্লাহ যদি কোন বালা মসিবত না দেয় তাহলে ফলন ভালো হবে, ও বেশি দামে বিক্রি করতে পারবো। আমি গত বছর পরীক্ষা মুলক ভাবে মালচিং পদ্ধতি এক শতাংশ জমিতে মালচিং পদ্ধতিতে আগাম ঝিঙে চাষ করে ছিলাম। সেখানে ভালো ফলাফল হওয়ায় এ বছর ২৮ শতাংশ জমিতে মালচিং পদ্ধতিতে বানিজ্যিক ভাবে ঝিঙে চাষ করেছি।
মালচিং পদ্ধতি আগাম ঝিঙে চাষ করলে রোগ বালাই কম হয়,আগাছা হয় না, নিদিষ্ট দূরত্বে লাগানো চারা সুস্হ সবল হয়,সার কম লাগে,জমিতে জো ঠিক থাকে,সর্বপরি উৎপাদন খরচ কম হয়। রোগ বালাই না থাকায় সার কীটনাশক খরচ নেই,সুস্থ সবল গাছে বাম্পার ফলন হবে ইনশাআল্লাহ।
সাধারণ ভাবে ঝিঙে মার্চ এপ্রিল মাসে লাগানো হয়। মে জুনে বাজারে পর্যাপ্ত পরিমাণে পাওয়া যায়। আর আমি জানুয়ারি প্রথম সপ্তাহে ঝিঙের বীজ রোপন করেছি এতে করে আমার উৎপাদিত ঝিঙে মার্চ এপ্রিলেই আসবে, বাজারে বেশী দামে বিক্রি হবে লাভও ভালো হবে।

নিউজটি শেয়ান করুন

© All Rights Reserved © 2019
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com